📚 জেলেখা স্মৃতি পাঠাগার: তুলসীঘাটে জ্ঞানের উৎসব
২০১৬ সালে গাইবান্ধা জেলার তুলসীঘাটে প্রতিষ্ঠিত জেলেখা স্মৃতি পাঠাগার আজ শুধু একটি গ্রন্থাগার নয়—এটি একটি সামাজিক আন্দোলনের প্রতীক, যা পরিচালিত হয় তুলসীঘাট যুব উদ্যোগ সংগঠন এর অধীনে। এর মূল লক্ষ্য গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে জ্ঞানচর্চা, পাঠাভ্যাস এবং শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা।
📖 পাঠাগারের উদ্দেশ্য
- সবার জন্য উন্মুক্ত ও বিনামূল্যে জ্ঞানচর্চার সুযোগ
- চিন্তাশীল, মানবিক ও সচেতন সমাজ গঠন
- গ্রামীণ সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণ
- শিশু, নারী ও তরুণদের জন্য সৃজনশীল কর্মশালা
📚 বইয়ের সংগ্রহ
বর্তমানে পাঠাগারে রয়েছে ৫,০০০টিরও বেশি বই। সাহিত্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান, ধর্ম, শিশুতোষ, অনুবাদ সাহিত্যসহ নানা বিভাগে বই রয়েছে। স্থানীয় লেখকদের রচনাও এখানে সংরক্ষিত।
👥 পাঠকের উপস্থিতি
প্রতিদিন গড়ে ৩০–৫০ জন পাঠক পাঠাগারে আসেন। বিশেষ আয়োজনে এই সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। শিশুদের জন্য রয়েছে আলাদা কর্নার, গল্পপাঠ, চিত্রাঙ্কন ও পাঠচক্র।

জেলেখা স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিটি সকাল শুরু হয় এমন দৃশ্য দিয়ে—যেখানে বইয়ের পাতায় ডুবে থাকা মুখগুলো শুধু জ্ঞান নয়, স্বপ্ন খুঁজে ফেরে। এখানে বই পড়া মানে নিজেকে গড়ে তোলা, সমাজকে চিনতে শেখা, আর ভবিষ্যতের পথ খুঁজে নেওয়া। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তরুণ ও প্রবীণ পাঠকরা একত্র হয়ে জ্ঞানচর্চায় নিমগ্ন। এই দৃশ্য প্রমাণ করে—গ্রামের মাটিতেও চিন্তার আলো ছড়ানো সম্ভব, যদি থাকে একটি পাঠাগার, কিছু নিবেদিত মানুষ, আর বইয়ের প্রতি ভালোবাসা।

এই দৃশ্যটি জেলেখা স্মৃতি পাঠাগারের হৃদয়স্পর্শী একটি মুহূর্ত—যেখানে একজন পাঠক হাতে তুলে নিচ্ছেন একটি বই, আর একজন স্বেচ্ছাসেবক তা তুলে দিচ্ছেন ভালোবাসা ও দায়িত্বের সঙ্গে। এখানে বই উপহার দেওয়া মানে শুধু জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া নয়, বরং একজন মানুষের জীবনে নতুন আলো জ্বালানো। এই পাঠাগারে প্রতিটি বই একটি গল্প, একটি সম্ভাবনা, একটি পরিবর্তনের বীজ। হাসিমুখে বই গ্রহণ করা এই মুহূর্তটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার আনন্দই সবচেয়ে বড় উপহার।

এই ছবিটি জেলেখা স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিদিনের একটি সাধারণ অথচ গভীর মুহূর্তকে তুলে ধরে। এখানে একজন পাঠক একাগ্রভাবে বইয়ের পাতায় ডুবে আছেন—চারপাশে নীরবতা, মনোযোগ, আর জ্ঞানের আবহ। এই দৃশ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়, পাঠাগার শুধু বইয়ের সংগ্রহ নয়—এটি একটি চিন্তার জায়গা, একটি আত্মঅন্বেষণের স্থান। এখানে প্রতিটি পাঠক নিজের ভেতরের আলো খুঁজে পায়, আর প্রতিটি বই হয়ে ওঠে একটি নতুন যাত্রার সঙ্গী।

জেলেখা স্মৃতি পাঠাগারের বার্ষিকী মানে শুধু একটি দিন নয়—এটি একটি আন্দোলনের উদযাপন। এটি সেই মুহূর্ত, যখন পাঠক, স্বেচ্ছাসেবক, শিশু, তরুণ—সবাই একত্র হয়ে বলে, ‘আমরা আছি, আমরা গড়ছি।’ এই দিনটি শুধু স্মৃতির নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি। ব্যানার, আলো, হাসিমুখ, আর বইয়ের গন্ধে ভরা এই আয়োজন যেন গ্রামের প্রাণের উৎসব।

এই ছবিটি শুধু একটি উপহারের দৃশ্য নয়—এটি জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার আনন্দের প্রতীক। জেলেখা স্মৃতি পাঠাগারে বই উপহার দেওয়া মানে একজন পাঠকের জীবনে নতুন আলো ছড়িয়ে দেওয়া। এখানে প্রতিটি বই একটি নতুন যাত্রার শুরু, একটি নতুন ভাবনার জন্ম। হাসিমুখে বই গ্রহণ করা এই পাঠকের চোখে আমরা দেখি কৃতজ্ঞতা, সম্ভাবনা, আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। এই পাঠাগারে বই শুধু পড়া হয় না—ভালোবাসা দিয়ে দেওয়া হয়।

এই ব্যানার শুধু একটি পরিচয় নয়—এটি একটি স্বপ্নের ঘোষণা। “জেলেখা স্মৃতি পাঠাগার” নামটি যখন তুলসীঘাটের আকাশে উড়ে, তখন তা শুধু একটি পাঠাগারের নাম নয়, বরং একটি আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে। এই ব্যানার গ্রামের মানুষকে জানিয়ে দেয়—এখানে জ্ঞান পাওয়া যায়, আলো ছড়ানো হয়, এবং প্রতিটি বই একটি নতুন জীবনের সম্ভাবনা। এটি সেই পতাকা, যার নিচে তরুণেরা একত্র হয়, শিশুদের চোখে স্বপ্ন জাগে, আর সমাজে পরিবর্তনের বীজ রোপণ হয়।
💬 পাঠকের অনুভূতি
“এই পাঠাগার আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এখানে এসে আমি শুধু বই পড়ি না, নিজের ভেতরের আলো খুঁজে পাই।” — এক কলেজ শিক্ষার্থী
0 Comments